শ্রীনগরে পশুর হাটে গরু-ছাগলের আমদানি বাড়ছে
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২:৫৯ এএম, ২৩শে জুন ২০২৩

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গরু-ছাগল বিক্রির হাটগুলো বেপারীদের গরু আনাগোনা শুরু হয়েছে। এতে হাটগুলোতে গরু-ছাগলের আমদানি বাড়ছে।
উপজেলা প্রশাসন প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ৫টি অস্থায়ীভাবে পশুর হাটের ইজারা প্রদান করেন। এর মধ্যে উপজেলার বাঘড়ায় ১ টি, ভাগ্যকুল স্কুল মাঠে ১টি, কামারগাঁও কেদারপুরে ১টি, বেলতলী স্কুল মাঠে ১টি ও বাড়ৈখালীর শিবরামপুরে ১টি হাট রয়েছে।
এছাড়া শ্রীনগর সদর ইউনিয়নের দেউলভোগ নিয়মিত হাটেও কোরবানির পশু বিকিকিনির শুরু হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে মূলত ২৪ তারিখ থেকে এখানকার পশুর হাটগুলো ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাকডাকে জমে উঠবে।
উপজেলা প্রাণিসম্প্রদ দপ্তর সূত্র জানান, উপজেলায় কোরবানির পশুর চাহিদার তুলনায় যোগানের পরিমান বেশি। উপজেলাব্যাপী এ বছর কোরবানির গরুর চাহিদা প্রায় ৯ হাজার ৬০০ থেকে ৯ হাজার ৭০০টি। সেখানে উপজেলার বিভিন্ন ১৪টি ইউনিয়নে ছোট-বড় প্রায় ৩৬শ’ খামারে কোরবানির জন্য গরু প্রস্তুত রয়েছে প্রায় ১৩ হাজার।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, তালিকাভুক্ত পশু হাটের বাহিরে এলাকাভিত্তিক কোথাও হাট বসানো যাবে না। যদি আইন অমান্য করা হয় তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া নির্ধারিত হাসিল মূল্যের বাহিরে অতিরিক্ত অর্থ আদায় না করার জন্য হাট ইজারাদার সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চিরিরবন্দরে কোরবানির জন্য সাড়ে ২৮ হাজার পশু প্রস্তুত
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, দূরদুরান্ত থেকে সড়ক পথে ও নদী পথে গরু নিয়ে এই অঞ্চলের হাটগুলোতে আসতে শুরু করেছেন। কুষ্টিয়া, যশোর, ফরিদপুরের বেপারীদের ভাগ্যকুল ও বাঘড়া পদ্মা নদীর তীর ঘেঁষা অস্থায়ী পশুর হাটগুলোতে ট্রলারে করে গরু আনতে দেখা গেছে।
অপরদিকে দেউলভোগ নিয়মিত পশুর হাটে যশোরের বেশ কয়েকজন বেপারীকে দেশি জাতের বেশকিছু জাতের ষাঁড় গরু আনতে দেখা গেছে।
এ সময় রুস্তম আলী নামে এক বেপারী বলেন, মোট ৩০টি গরু আনা হয়েছে। আরও গরু আসার অপেক্ষায় আছে। যদিও হাটগুলো এখন ক্রেতা শুণ্য। তবে হাট এলাকায় দেশি-বিদেশি জাতের বিভিন্ন গরু দেখতে পথচারীরা ভিড় জমাচ্ছেন।
স্থানীয়রা বলছেন, সবে মাত্র হাটে গুরু-ছাগল আসতে শুরু করেছে। ধারনা করা হচ্ছে শনি-রবিবার থেকে উপজেলার পশুর হাটগুলোতে মানুষের সমাগম বাড়বে। গরু-ছাগল বিকিকিনির মধ্যে দিয়ে পশুর হাটগুলো জমে উঠবে।
জেবি/ আরএইচ/